জরায়ু ক্যান্সারের কারন, লক্ষন, টেস্ট, চিকিৎসা ও প্রতিরোধের উপায় | জরায়ু ক্যান্সার এমন এক ধরনের প্রজনন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রোগ, যা বর্তমান সময়ে নারীদের জীবনের অন্যতম বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিনিয়তই এ ধরনের ক্যান্সার আক্রান্ত নারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তীব্রভাবে এর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর, বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে।
তবে সংক্রমণের শুরুর দিকে এটি সনাক্ত করতে পারলে, উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে এর থেকে সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব। তাই জরায়ু ক্যান্সারের কারন, লক্ষন, টেস্ট, চিকিৎসা ও প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন এখানে।
জরায়ু ক্যান্সার
জরায়ুর ক্যান্সার হলো এন্ডোমেট্রিয়ামে কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি থেকে উদ্ভূত হওয়া ক্যান্সার।
বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতি বছর প্রায় ১২,০০০ নারী জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। এবং প্রতিবছর প্রায় ৬ হাজারেরও বেশি নারী এ ধরনের ক্যান্সারের কারণে মৃত্যুবরণ করছে। সাধারণত ২০ বছরের কম বয়সীদের সাধারণত এ রোগ হয় না। আক্রান্ত নারীদের মধ্যে অধিকাংশই ৪০ থেকে ৪৯ বছর বয়সী। তবে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর থেকে যেকোনো সময়ই এ ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে।
জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকিতে আছে যারা:
- শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতি থাকলে।
- অনেকজন যৌনসঙ্গী থাকলে। অথবা, স্বামী বা যৌন সঙ্গীর শরীরে পূর্বেই এই ভাইরাসটি থাকলে।
- এইডস, সিফিলিস, গনোরিয়া ইত্যাদি রোগ থাকলে।
- জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য ৫ বছরের বেশি সময় ধরে ট্যাবলেট বা পিল সেবন করলে।
- নিয়মিত ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবন করলে।
- যাদের ১৬ বছর বয়সের আগেই যৌনসংগমের অভিজ্ঞতা আছে। অথবা, পিরিয়ড শুরুর ১ বছরের মধ্যেই যারা যৌন সঙ্গম শুরু করেছিল।
- যারা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে থাকেনা ইত্যাদি।
মেয়েদের জরায়ু ক্যান্সার কেন হয় | জরায়ু ক্যান্সারের কারণ
মেয়েদের জরায়ু ক্যান্সারের কারণগুলো হলো:
- অতিরিক্ত মাত্রায় ইস্ট্রোজেন ও কম মাত্রায় প্রোজেস্টেরন থাকা।
- অতিরিক্ত ওজন ও মোটা হওয়া।
- দেরিতে মেনোপজ হওয়া বা আগে মাসিক শুরু হওয়া।
- পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে জরায়ু ক্যান্সারের প্রভাব থাকা।
- পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম থাকার কারণে।
- মেনোপজের পর ইস্ট্রোজেন থেরাপি গ্রহণ করলে।
- ডায়াবেটিসের কারণে।
- সন্তান না থাকা বা খুব দেরিতে সন্তান নেওয়া।
- ধূমপান ও তামাক ব্যবহার।
- উচ্চ রক্তচাপ থাকার কারণে।
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন পদ্ধতি।
- হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV) ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হওয়া।
- অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ বা নির্গমন হওয়া।
- অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন করা।
এই কারণগুলো জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই সচেতনতা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ
সাধারণত জরায়ু ক্যান্সারের কিছু লক্ষণ সহজেই শনাক্ত করা যায়। তবে অনেক সময় এগুলো উপেক্ষা করা হয়। যার ফলে সমস্যা আরও গুরুতর হয়ে উঠে। তাই সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য জরায়ু ক্যান্সারের উল্লেখযোগ্য লক্ষণগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:
- জরায়ু ক্যান্সারের প্রথম ও প্রধান লক্ষণ হলো অস্বাভাবিক রক্তপাত। মেনোপজের পর রক্তপাত হলে তা বিশেষত সতর্কতার সঙ্গে দেখা উচিত। মেনোপজের আগে অস্বাভাবিক রক্তপাত, যেমন- খুব বেশি রক্তপাত বা মাসিকের মাঝে রক্তপাত হওয়া, ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ হতে পারে।
- অনেক সময় তলপেটে ব্যথা বা চাপ অনুভূত হতে পারে। এটি প্রাথমিক পর্যায়ে হতে পারে এবং সময়ের সাথে সাথে বাড়তে পারে।
- যৌনমিলনের সময় বা পরেও ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথা সাধারণত অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও তাৎক্ষণিকভাবেও হয়ে থাকে।
- প্রস্রাবের সময় জ্বালা বা অসুবিধা হয়। এটি সাধারণত অন্যান্য সংক্রমণেরও কারণে হতে পারে। কিন্তু আবার ক্যান্সারেরও লক্ষণ হতে পারে।
- দ্রুত ওজন হ্রাস হওয়া বা ক্ষুধামন্দা দেখা দেওয়া। যদিও এই লক্ষণগুলো সাধারণত অনেক রোগের সাথে সম্পর্কিত। তবুও জরায়ু ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এসব লক্ষণ অগ্রাহ্য করা উচিত নয়।
উপরোক্ত লক্ষণগুলোর মধ্যে কোনোটি দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়া উচিত। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে এই ক্যান্সার দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা জীবন সংকটের দিকে নিয়ে যায়। তাই সচেতনতা ও সতর্কতা জরায়ু ক্যান্সারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জরায়ু ক্যান্সার শনাক্তকরণের উপায়
সাধারণত জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো দেখলেই আমরা এটি অনুমান করতে পারব। এছাড়াও চেকআপের মাধ্যমে এই ক্যান্সার সম্পর্কে জানা যাবে। জরায়ু ক্যান্সার শনাক্তকরণের একটি ব্যথামুক্ত ও সাশ্রয়ী পরীক্ষা পদ্ধতি হলো “প্যাপ স্মিয়ার টেস্ট”। এই পরীক্ষা পদ্ধতিটি প্রায় সকল বয়সীদের জন্যই উপযুক্ত।
মূলত এই পদ্ধতিতে নারীদের জরায়ুমুখ থেকে রস নিয়ে অণুবীক্ষণযন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এভাবে ক্যান্সার, ক্যান্সার হওয়ার পূর্বাবস্থা ও জরায়ুমুখের অন্যান্য রোগ সমূহ শনাক্ত করা যায়।
এছাড়াও পাকস্থলীর ক্যান্সার কেন হয়, লক্ষণ ও পাকস্থলী ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন।
সাধারণভাবে জরায় ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। তাই বিবাহিত নারীদের ২১ বছর বয়সের পর থেকে এই পরীক্ষাটি নিয়মিত করালে, প্রাথমিক পর্যায়েই ক্যান্সার শনাক্ত করা সম্ভব। এক্ষেত্রে প্রতি ২ বছরে একবার চেকআপ করাতে পারেন। ৩০ থেকে ৬৪ বছর বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে, চেকআপ করিয়ে ৩ বার স্বাভাবিক ফলাফল পেলেও প্রতি তিন বছর পর পর এই পরীক্ষাটি করানো গুরুত্বপূর্ণ।
জরায়ু ক্যান্সার হলে করনীয়
জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণগুলো প্রকাশ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়া উচিত। এ সময়ে আপনি যা যা করতে পারেন, সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:
- এই রোগের লক্ষণগুলো দেখা দিলে সাথে সাথে একজন গাইনোকলজিস্ট বা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
- আল্ট্রাসাউন্ড, বায়োপসি এবং অন্যান্য পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করান।
- নির্ণয়ের পর চিকিৎসার পরিকল্পনা তৈরি করুন। এক্ষেত্রে সার্জারি, রেডিয়েশন থেরাপি, কেমোথেরাপি এবং হরমোন থেরাপির করাতে হতে পারে।
- প্রয়োজন হলে জরায়ু অপসারণের জন্য সার্জারি করাতে হবে।
- ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে রেডিয়েশন থেরাপি গ্রহণ করতে পারেন।
- ওষুধের মাধ্যমে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে কেমোথেরাপি করুন।
- হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হরমোন থেরাপি নিন।
- পুষ্টিকর খাবার খেয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান।
- পরিবারের সদস্য, বন্ধু, এবং আত্মীয়-স্বজন থেকে মানসিক সমর্থন নিন।
- চিকিৎসার পর নিয়মিত চেকআপ করান।
- তারপর সর্বদা স্বাস্থ্যকর জীবন পদ্ধতি অনুসরণ করুন। ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকুন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
উপরোক্ত করণীয় গুলো মেনে চললে জরায়ু ক্যান্সার থেকে পরিত্রান পাওয়া বা ক্যান্সার মোকাবেলা করা সম্ভব।
জরায়ু ক্যান্সারের চিকিৎসা ও বিভিন্ন থেরাপি
জরায়ু ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতি ও থেরাপি সমূহ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। প্রধানত চারটি প্রধান চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে:
(১) সার্জারি (অস্ত্রোপচার)
জরায়ু ক্যান্সার চিকিৎসার প্রথম ধাপ হিসেবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সার্জারি ব্যবহার করা হয়। এই রোগের সার্জারির মধ্যে রয়েছে:
- হিস্টেরেক্টমি: জরায়ু পুরোপুরি অপসারণ করা।
- র্যাডিকাল হিস্টেরেক্টমি: জরায়ু, পার্শ্ববর্তী টিস্যু এবং লসিকা গ্রন্থি অপসারণ করা।
(২) রেডিয়েশন থেরাপি
এই পদ্ধতিতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রশ্মি ব্যবহার করে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করা হয়। এটি দুই ধরনের হতে পারে। যথা:
- এক্সটার্নাল বিম রেডিয়েশন থেরাপি: শরীরের বাইরে থেকে রশ্মি ব্যবহার করা।
- ব্র্যাকি থেরাপি: শরীরের ভিতরে, ক্যান্সারের কাছাকাছি রেডিয়েশন রশ্মি স্থাপন করা।
(৩) কেমোথেরাপি
কেমোথেরাপি একটি ওষুধ ভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি, যা ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি সার্জারি বা রেডিয়েশন থেরাপির সাথে সম্মিলিতভাবে ব্যবহার করা হয়।
(৪) হরমোন থেরাপি
এই থেরাপিতে হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করা হয়। মূলত এই ধরনের থেরাপি হরমোন সংবেদনশীল ক্যান্সারের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
উপরোক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি ও থেরাপি সমূহের মধ্যে কোনটি প্রযোজ্য হবে তা নির্ভর করে রোগীর ক্যান্সারের ধরণ, পর্যায় এবং রোগীর শারীরিক অবস্থার উপর। তাই রোগীকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ ও পরীক্ষার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আরও জানতে- নিয়মিত মাসিক না হলে করনীয় কি
জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়
জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর টিকা নিলে, সেই টিকা কোন কাজে আসে না। তাছাড়া পর্যাপ্ত চিকিৎসার পরও এর থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। তাই এই ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আগেই সচেতনতার মাধ্যমে জরায়ু ক্যান্সারের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয় সমূহ নিচে তুলে ধরা হলো:
- ১১-১২ বছর বয়সে HPV টিকা নেওয়া। ৯-২৬ বছর বয়সীদেরও এই টিকা দেওয়া যায়। আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের নিয়মানুযায়ী ৯-২৫ বছর বয়সে এ টিকা দেওয়া যায়। আক্রান্ত হয়ে ক্যান্সার সংঘটনের পর এই টিকা আর কোনো কাজে আসে না। তাই আক্রান্ত হওয়ার আগেই এই টিকা গ্রহণ করা উচিত।
- নিয়মিত প্যাপ স্মিয়ার ও পেলভিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো। এতে করে, প্রাথমিক পর্যায়ে সমস্যা শনাক্ত করা সহজ হবে।
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা। যেমন- বেশি ফল, সবজি ও আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া। অন্যদিকে, প্রক্রিয়াজাত খাবার ও চিনি কম খাওয়া।
- স্থূলতা এড়াতে নিয়মিত ব্যায়াম ও সঠিক ডায়েট অনুসরণ করতে হবে।
- উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা।
- ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন করা। পানের সাথে জর্দা, সাদা পাতা দাঁতের গোড়ায় গুল রাখা ইত্যাদি পরিহার করা।
- সুরক্ষিত যৌনমিলনে সচেতন থাকা এবং একাধিক যৌনসঙ্গী এড়ানো।
- বাল্য বিবাহ রোধ করা এবং অধিক সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম নীতি মেনে চলা।
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া বা ঘুমোনো এবং মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া।
- মানসিক চাপ বা স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণের জন্য মেডিটেশন ও রিল্যাক্সেশন টেকনিক ব্যবহার করা।
- পরিবারের কারো মধ্যে ক্যান্সারের প্রভাব থাকলে, তা ডাক্তারকে জানানো।
- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা এবং স্বাস্থ্যসম্মত ও সুশৃঙ্খলভাবে সামাজিক অনুশাসন মেনে জীবনযাপন করা।
- জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ ও ঝুঁকির বিষয়ে সচেতন থাকা এবং শিক্ষামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা।
উপরোক্ত উপায়গুলো মেনে চললে জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
জরায়ু ক্যান্সারের টিকা কখন দিতে হয়
জরায়ু ক্যান্সারের টিকা বা HPV টিকাটি সাধারণত ১১-১২ বছর বয়সে দেওয়া হয়। তবে ৯-২৬ বছর বয়সীদেরও এটি দেওয়া যাবে।
আরও জানুন: স হ বাস বা যৌ ন সঙ্গম নিয়ে কিছু ভুল ধারণা
জরায়ু ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে
জরায়ু ক্যান্সার হলে রোগীর বেঁচে থাকার সময়কাল ক্যান্সারের ধরণ ও পর্যায়ের উপর নির্ভর করে। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে এবং সঠিক চিকিৎসা নিলে ৫ বছরের বেঁচে থাকার হার ৯৫% পর্যন্ত হতে পারে। তবে ক্যান্সার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর ধরা পড়লে, বেঁচে থাকার সময়কালের হার কমে যায়।
শেষকথা
উপরোক্ত আলোচনা থেকে জরায়ু ক্যান্সারের কারন, লক্ষন, টেস্ট, চিকিৎসা ও প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলেন। এখানে উল্লেখিত বিষয়গুলো দৈনন্দিন জীবনে মেনে স্বাস্থ্য সচেতন থাকলে এর থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।
সম্মানিত ভিজিটর আমি আব্দুল কাইয়ুম, পেশায় আমি একজন গণমাধ্যমকর্মী। ব্লগ বলেন আর সংবাদ বলেন এটাই আমার নেশা ও পেশা। এই ব্লগের মাধ্যমে ভিজিটরদের সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করাই আমার ছোট্ট প্রয়াস মাত্র।