এটি একটি গুরুত্বত্বপূণ আর্টিকেল। এখানে স হ বাস নিয়ে প্রচলিত কয়েকটি ভুল ধারণা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। স হ বাস বা যৌ ন স ঙ্গ ম নিয়ে আমাদের মাঝে বহু রকমের কুসংস্কার, ভুল ধারণা ও অন্ধ বিশ্বাস প্রচলন আছে। এই ব্যাপারগুলো সংবেদনশীল মনে করে অনেকেই সংকোচ বোধ করেন। দেখা যায়, স হ বাস নিয়ে যতসব ভুল ধারণা রয়েছে সেগুলোর ওপর ভর করে অনেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিচ্ছ! যার ফলে সৃষ্টি হয় পারিবারিক জটিলতা। সাথে দেখা দেয় মানসিক ও শারীরিক সমস্যা।

১. সন্তান ধারণের জন্য প্রতিদিন স হ বা স করা !
সমাজের অনেকের ধারণা বাচ্চা নিতে হলে প্রতিদিন স হ বা স/যৌ ন মিলন করতেই হবে। তা না হলে না কি সন্তান ধারণের সম্ভাবনা অনেকাংশেই হ্রাস পায়।
এতে বিজ্ঞান কি বলে: গবেষণায় দেখা গেছে-
- প্রতিদিন স হ বা সে সফল হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে (৩৭ শতাংশ)। একদিন পর পর স হ বা স করলেও সম্ভাবনা কাছাকাছি থাকে (৩৩ শতাংশ)।
- আর সপ্তাহে একবার স হ বা স করলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা মাত্র ১৫ শতাংশে
অর্থাৎ ঘন ঘন স হ বা স/যৌ ন মিলনে সম্ভাবনা বাড়ে, এবং প্রতিদিন বা ১ দিন পর পর চেষ্টা করলে সম্ভাবনা থাকে সর্বোচ্চ। আর যদি Fertile Window বা গর্ভধারণের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় সময় খুঁজে বের করেন, তবেই ঘন ঘন চেষ্টা করা যেতে পারে।
তবে এমন রুটিন মেনে সবার পক্ষে বাচ্চার জন্য চেষ্টা করা সম্ভব হয় না। নির্ভরযোগ্য তথ্যগুলো জেনে বুঝে পরিস্থিতি বিবেচনায় যেটা ভালো হয়, সেভাবেই পদক্ষেপ নিবেন।
২. গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ে নির্দিষ্ট কিছু অবস্থানে স হ বা স করলে!
বাচ্চা নেওয়ার ক্ষেত্রে স হ বা সের নিয়ম কী? – এই প্রশ্নের বহুল প্রচলিত উত্তর হচ্ছে ‘মিশনারি অবস্থান।’ এ অবস্থানে পুরুষ ওপরে ও নারী নিচে থাকে। এ অবস্থায় সহবাসে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বেশি বলে দাবি করা হয়।
অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কিছু ভিডিওতে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বেশি বলে দাবি করা হয়েছে। এছাড়া স হ বা সের পর মেয়েরা দৌড়ঝাঁপ করলে না কিংবা দাঁড়ানো অথবা বসা অবস্থায় স হ বা স করলে গর্ভধারণ সম্ভব হবে না এমন ধারনাও সমাজে প্রচলন আছে
বিজ্ঞান কি বলে? এগুলোরে একটিই সঠিক নয়। নির্দিষ্ট কোন অবস্থানে স হ বা স করলে সন্তানধারণের সম্ভাবনা বেশি বেশি বা কমের এসব দাবিগুলো মোটেও বিজ্ঞান সমর্থন করে না।
সন্তান ধারণের জন্য শুক্রাণু বা মাসিকের রাস্তায় বী র্য, যো নি প থের কাছাকাছি পৌঁছলেও গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য যেসব অবস্থানে স হ বা স করলে মাসিকের রাস্তায় বী র্য পা ত হয় কিংবা ক ন ড ম বা জন্মনিরোধক ব্যবহার না করা হলে, সেসব অবস্থানে গর্ভধারণে সম্ভাবনা থাকে। কোন একটা অবস্থান অন্যটির চেয়ে উত্তম বা বেশি কার্যকর ; বিষয়টি এমন নয়।
যেকোন অবস্থানেই স হ বা স হোক না কেন, একজন পুরুষের বী র্য পা তের পরে নারীর যো নি প থ হতে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই শুক্রাণু পৌঁছে যায় ‘জ রা য়ু মু খে’।

৩. যো নি প থে বী র্য বের হলে গর্ভবতী হওয়া যাবে না !
সমাজের অনেকেই খুবই দুশ্চিন্তা বা ধারণা যে, সাধারণত বী র্য পা তের পর মাসিকের রাস্তা দিয়ে বী র্য বের হয়ে আসলে ‘সব শু ক্রা ণু বের হয়ে আসে, এবং নারীর গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা নাই।’ এই ফ্লোব্যাক বা বেরিয়ে আসা ঠেকানোর জন্য বহু পন্থা ইন্টারনেটে রয়েছে, যেমন-
- নারী শুয়ে দুই পা উঁচু করে রাখা
- চিৎ হয়ে আধা ঘণ্টা শুয়ে থাকা
- কোমরের নিচে বালিশ দিয়ে উঁচু করে রাখা
এসবের জন্য কোনো কাজ করা বা বিশেষ অবস্থানে শুয়ে থাকার প্রয়োজন নেই। এমনকি শু ক্রা ণু , জ রা য়ু তে পৌঁছাতেও বিশেষ কিছুর দরকাই নেই। দেহের গতানুগতিক প্রক্রিয়াতেই শু ক্রা ণু, যো নি প থ থেকে দ্রুত সময়ে জ রা য়ুতে পৌঁছে যাবে। সেজন্য গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায় এমন বিশেষ কোন কাজের প্রমাণ নেই।
মোট কথা, বী র্য বেরিয়ে আসলে দূশ্চিন্তার কারণ নেই। তবে বাচ্চা নিতে চাইলে আপনার শু ক্রা ণু নারীদেহের অনুকূল পরিবেশের বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। নারীদেহ শু ক্রা ণুর জন্য সুন্দর পরিবেশ তৈরি মাসে মাত্র কয়েকটি নির্দিষ্ট দিনে।
৪. প্রথম স হ বা সে কেউ গর্ভধারণ করে না
প্রথম স হ বা সের সময় অনেকেই কোনো জন্মনিরোধক ব্যবহার করেন না। আবার গর্ভধারনের জন্য একাধিকবার স হ বা সের প্রয়োজন- অনেকে এমন ধারণা পোষণ করেন।
বিজ্ঞানের মতে : এসব ধারণা সম্পূর্ণরূপে ভুল। সাধারণত একজন নারীরা গর্ভধারণের উপযুক্ত হন- ‘বয়ঃসন্ধি কালের সাথে সাথে, বা প্রথম মাসিক শুরুর কিছুদিন আগে।’ প্রথম ডিম্বপাতের সময় হতে প্রথমবার স হ বা সে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা থাকে।
৫. বী র্য খেয়ে ফেললে প্রেগন্যান্ট হবার সম্ভাবনা থাকে ?
বিজ্ঞানের ভাষায় : বী র্য খেয়ে ফেললে গর্ভধারণের কোনো সম্ভাবনা নেই। এক্ষেত্রে বিভিন্ন যৌ ন বা হিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।যেমন- ১. গনোরিয়া, ২. হার্পিস ও ৩. ক্ল্যামিডিয়া। তাই ক ন ড ম ব্যবহার করা নিরাপদ
অ্যানাল সেক্সে (পায়ুপথে স ঙ্গ ম) ক্ষেত্রে বী র্য যোনিপথের স্পর্শে না আসলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে না। তবে সাবধানতার জন্য জেনে রাখা ভালো – সঙ্গীর এইচ আই ভি-এইডস বা যৌ ন বাহিত রোগ থাকলে সুস্থ সঙ্গীরও এসব রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৬. বী র্য পা তের আগে যৌ না ঙ্গ বের হলে নারী গর্ভবতী হয় না ?
বিজ্ঞান বলে: মেয়েদের যো নি প থের বাইরে বী র্য ফেললেই সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা আর থাকে না- এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। এর ব্যাখ্যা হচ্ছে, বী র্য পাতের আগের উত্তেজিত (ইরেকশন থাকা) কালে পুরুষদের যৌ না ঙ্গ হতে বেশ কিছু তরল রস বের হয়, যেটিকে Pre-ejaculatory Fluid নামে পরিচিত। এই রসে হাজার-হাজারো শু ক্রা ণুর অস্থিত্ব রয়েছে। যা দ্বারা গর্ভধারণের সমূহ সম্ভাবনা আছে। আর এড়াতে চাইলে সুরক্ষা ব্যবহার করা যেতে পারে।
৭. স হ বা সের পর ১ ঘণ্টা যৌ না ঙ্গ না ধুয়ে থাকতে হবে
সমাজে একটি কথা প্রচলন আছে, গর্ভবতী হতে চাইলে স হ বা সের পর অন্তত ১ ঘণ্টা পানি বা সাবান দিয়ে নিজেকে পরিষ্কার করা যাবে না। এতে না কি শু ক্রা ণু ধ্বংস হয়ে য়ায় আর গর্ভধারণের সম্ভব নষ্ট হয়।
বিজ্ঞান যা আছে : এইসব প্রচলন বা রীতি ভিত্তিহীন। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বী র্য শু ক্রা ণু থেকে জ রা য়ু মুখে চলে যায়। সেজন্য ঘন্টার পার ঘন্টা অপেক্ষা করার প্রয়োজন নয়। বরং স হ বা সের পর কুসুম গরম পানি দিয়ে বিশেষ অঙ্গ পরিষ্কার করে নিতে পারলে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ কমে আসে। এতে প্রস্রাবের রাস্তার ইনফেকশন হওয়া থেকে রক্ষ করতে পারে।
সর্বোপরি যারা বাচ্চা নেয়ার চেষ্টা করছেন, তাদের গুজব এড়িয়ে চলা জরুরি। সাথে মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। একটি উদাহরণ হলো- প্রতিদিন ‘ফলিক এসিড খাওয়া’। এতে বাচ্চার ব্রেইন আর মেরুদণ্ড জন্মগত ত্রুটি থেকে ঝুঁকি কমায়।
আরও পড়ুন: মাথার চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
৮. পুরুষা-ঙ্গ প্রবেশ না করালে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা নেই ?
বিজ্ঞান যা বলে: এক্ষেত্রে গর্ভধারণের সম্ভাবনা খুবই কম, তবে এমন সহবাসে সন্তান সম্ভাবনা নাকচ করা যায় না। এমনটা হতে পারে যদি –
- যো-নির কাছাকাছি বীর্যপাত হয়, অর্থাৎ- বীর্য যোনির সংস্পর্শে চলে আসে।
- পুরুষের উত্তেজিত (ইরেকশন) অবস্থায় নারীর যৌ*নাঙ্গের সংস্পর্শ পায়।
সাধারণত বী র্য ও বী র্য পাতের আগের Pre-ejaculatory Fluid -অবস্থায় অসংখ্য শু ক্রা ণু থাকে। সেগুলো বেশিক্ষণ দেহের বাইরে বাঁচতে পারে না। আবার যদি কোনভাবে শু ক্রা ণু যো নি পথে প্রবেশ করে তাহলে তা জ রা য়ুর ভেতরে ঢুকে ডিম্বাণু নিষিক্তেরর মাধ্যমে গর্ভধারণের সক্ষমতা থাকে।
পুরুষের যৌ ন স্বাস্থ্য বিষয়ে কিছু ভুল ধারণা :
১. একটি প্রচলিত ধারণা হলো- প্রতিদিন বী র্য পাত করলে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা কমে যায় ফলে পুরুষের বী র্যে র ঘাটতি দেখা দিতে পারে। আবার অনেকেই মনে করেন পুরুষের প্র জ ন ন ক্ষমতা কমে যায় ঘন ঘন বী র্য পাত হলে। এই ধারণার সূত্রপাত হচ্ছে, অনেকদিন পর পর বী র্য পাত করলে বী র্য ঘন দেখা যায়।
গবেষনায় বিজ্ঞান যা বলে: প্রায় দশ হাজার বী র্যে র স্যাম্পল সংগ্রহ করে বড় একটি গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিদিন বী র্য পাত হলেও শুক্রাণুর সংখ্যা স্বাভাবিক থাকে। এতে ঘন ঘন স হ বাস কিংবা বী র্যের হলে প্র জ ন ন ক্ষমতা কমে যায় না বরং জীনগত মান উন্নত হয়
২. স হ বা স না করলে অণ্ডকোষে ব্যথা ও নীল হয়ে যাওয়া, এমনকি ফেটে যেতে পারে?
বিজ্ঞান যা বলে: পুরোটাই ভ্রান্ত ধারণা। পুরুষদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ ফেটে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নাই। আর স হ বা স না করলে নারী বা পুরুষ কারোই কোনো সমস্যা হয় না।
সাধারণত পুরুষের দেহে সবসময় বী র্য এবং শু ক্রা ণু প্রস্তুত থাকে। পুরুষের বী র্য পাত না হলে সেই বী র্য শোষিত হয়ে যায় শরীরে। এছাড়াও স্ব প্ন দোষ বা হস্ত মৈ থুন মাধ্যমেও বী র্য পাত হয়ে থাকে। তাই এমন ভ্রান্তগত ভয় না পাওয়াই উত্তম।
নারীদের যৌ ন স্বাস্থ্যগত ভুল ধারণা :

১. মেয়েদের মাসিকের সাথে সাথেই স হ বাসে উপযুক্ত হয়ে যায় !
বিজ্ঞান বলছে: এসব ধারণা সঠিক নয়। মাসিক হওয়ার অর্থ হচ্ছে মেয়ে শিশু বড় ক্রামাগত হচ্ছে এবং স হ বা স করলে সন্তান ধারণের সমূহ সম্ভাবনা আছে।তবে এই অবস্থায় মেয়েরা স হ বা স করতে শারীরিক বা মানসিকভাবে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
২. মাসিক কালে স হ বাস করলে নারী গর্ভ বতী হয় না !
এই কথাটি সমাজের অনেকেরই কাছে পরিচিত। সাধারণত মাসিকের সময় যো নি পথে রক্তক্ষরণ হয়, তাই অনেকে মানসিক ধারণা যে শুক্রাণু জ রা য়ুমুখে পৌঁছাতে পারে না
বিজ্ঞান যা বলে: নারীদের মাসিকের সময় শরীরের হরমোনগুলো গর্ভধারণের উপযুক্ত অবস্থার ঠিক বিপরীত থাকে। কিন্তু এরপরেও মাসিক চলা কালে স হ বাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থেকেই যায়।
কারণ হচ্ছে- মাসিক কালে বী র্য পাতের পর শুক্রাণু নারীদেহে পাঁচ-ছয় দিন অবধি বেঁচে থাকে। তাই নির্ধারিত সময়ের আগেই হয়ে যায় মহিলাদের ওভুলেশন বা ডিম্বপাত। তাই শুক্রাণু ও ডিম্বাণু নিষিক্ত হয়ে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা থেকেই যায়।
গবেষণায় পাওয়া গেছে: মাসিক হওয়ার চতুর্থ দিন হতেই নারীরা গর্ভধারণের জন্য বেশ উপযুক্ত হয়ে যায়। সেজন্য যেকোনো সময়েই একজন নারী গর্ভধারণ করতেই পারেন।
আরও পড়ুন: মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার উপায়
৩. প্রথমবার স হবাসের সময় সব নারীরই যো নি পথ দিয়ে রক্তপাত হয় !
একটি বহুল প্রচলিত ধারণা হচ্ছে- যে কোন নারী প্রথমবার যখন স হ বাস করে তখন তার যো নিপথে রক্তপাত হয়। এটিই না কী নারীর কুমারিত্ব বা ভার্জিন চেনার প্রধান নির্দেশক। অনেকের মনের ভাসনা- যো নি পথে সতিচ্ছদ বা হাইমেন অক্ষত আছে মানেই সে মেয়েটি ভার্জিন। আর যো নি পথের ছিদ্র আকারে বড় হলে মেয়েটি কুমারী নয়- এমন বিশ্বাস মনে প্রাণে লালন করে থাকেন বহু নারী পুরুষ।
বিজ্ঞান যা বলে: এমনটা ঘটনা সবসময় ঘটে না। ক্ষেত্রে বিশেষে প্রথমবার মিলনের পর মাসিকের রাস্তা দিয়ে র ক্ত পাত হয়, আবার অনেকের হয় না। দুটোই সম্পূর্ণরূপে একটি স্বাভাবিক ঘটনা। এর সাথে কু মা রিত্ব চিনার সম্পর্ক নেই।
নারীর যো নি পথের মুখে হাইমেন বা যো নি চ্ছদ বা সতীচ্ছদ নামের একটি পর্দা রয়েছে। এটি একটি পাতলা চামড়ার মত পর্দা যা যো নি পথের মুখকে আংশিকভাবে ঢেকে রাখতে সহায়তা করে। যো নি চ্ছদ কিছুটা নমনীয়, অর্থাৎ একটু টান পড়লে সামান্য কিছুটা বড় হতে পারে।
তাই সকল নারীর হাইমেন একই ধরনের হয় না। বেশিরভাগ নারীর সতীচ্ছদ যো নি পথের মুখকে চারিদিক থেকে আংশিকভাবে আগলে রাখে। আবার বহু নারীর শরীরে এই পর্দাটি একেবারেই থাকে না। আবার কারও কারও থাকেও প্রথম স হ বাসের সময়ে নারীর সতীচ্ছদকে পুরুষের যৌ নাঙ্গ ভেদ করলে সতীচ্ছদে টান পড়ে ছিঁড়ে যায়। যার ফলে যো নি পথ দিয়ে ব্যথা বা রক্তপাত হয়। আবার কখনও স হ বাস না করলেও হাইমেনে টান পড়ে ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সতীচ্ছদ ছিঁড়ে গেলে কিংবা টান লাগলে একজন নারী সবসময় বুঝতে পারে না, কেননা সেক্ষেত্রে সবসময় ব্যথা হবে বা লক্ষণীয় পরিমাণে র ক্ত পাত হবে ব্যাপারটি এমন নাও হতে পারে। জীবনে প্রথমবার স হ বাসের আগে স্বাভাবিক কারণে সতীচ্ছদ অতি সহজেই ছিঁড়ে যেতে পারে, তার মধ্যে রয়েছে— . শারীরিক খেলাধুলার ফলে, ঘোড়ায় ওপর চড়লে, মাসিকের সময় ট্যাম্পন ব্যবহার হলে, হ স্ত মৈ থুন করলে
সেজন্য যো নি পথে র ক্ত পাত বা হাই-মেনের ওপর ভিত্তি করে নারীর কুমারিত্ব নির্ধারণের প্রচলনের সঠিক প্রক্রিয়াটি ভুল এবং অপ্রয়োজনীয়

সম্মানিত ভিজিটর আমি আব্দুল কাইয়ুম, পেশায় আমি একজন গণমাধ্যমকর্মী। ব্লগ বলেন আর সংবাদ বলেন এটাই আমার নেশা ও পেশা। এই ব্লগের মাধ্যমে ভিজিটরদের সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করাই আমার ছোট্ট প্রয়াস মাত্র।