অনলাইনে ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম । E Passport Check Online

অনলাইনে ই পাসপোর্ট চেক সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদি আজকে আমরা এ আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারলাম। আপনি নতুন পাসপোর্ট বা পাসপোর্ট রিনিউ আবেদন করেছেন ? সেই পাসপোর্ট হয়েছে কি না বা কোন দিন ডেলিভারী পাবেন সেটি চেক করতে পারবেন অনলাইনেই। এক নজরে দেখে নিন ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম-

আপনার আবেদনকৃত ই পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন এখানে। সেজন্য আপনার আবেদনের Online Registration ID (OID) বা Application ID প্রয়োজন হবে। ঘরে বসে অনলাইনে চেক করেই জানতে পারবেন আপনার পাসপোর্ট রেডি হয়েছে না কি হয়নি ।

আপনার ই পাসপোর্ট অনলাইনে আবেদন করার পর, Application Summery পেইজ থেকে Online Registration ID অথবা OID পাবেন। সাথে Registration Form থেকে Application ID এবং OID দিয়ে জানতে পারবেন।

অনলাইনে ই পাসপোর্ট চেক
অনলাইনে ই পাসপোর্ট চেক

পাসপোর্ট চেক করতে যা প্রয়োজন :

অনলাইনে পাসপোর্ট চেক করতে হলে আপনার ইন্টারনেট সংযোগ সহ একটি স্মার্টফোন বা কম্পিউটার প্রয়োজন।
এছাড়া আপনার প্রয়োজন হবে:

  • Online Registration ID (OID) অথবা Application ID
  • পাসপোর্ট আবেদনে দেয়া জন্ম তারিখ

ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম :

অনলাইনে ই পাসপোর্ট চেক করতে হলে প্রথমে ভিজিট করুন- www.epassport.gov.bd ওয়েবসাইটে। এরপর Check Status মেন্যুতে ক্লিক করুন এবং Online Registration ID অথবা Application ID এবং জন্ম তারিখ দিন। I am human লেখার পাশে টিক চিহ্ন দিয়ে ক্যাপচা পূরণ করুন। পরে Check বাটনে ক্লিক করে সহজেই পাসপোর্ট চেক করতে পারবেন।

নিচের অপশন দেখে পাসপোর্ট ডেলিভারি চেক করতে পারবেন :

অনলাইনে E Passport Check করার জন্য এই পেইজের শেষের দিকে স্ক্রল করুন।

  • Online Registration ID লিখুন। এটি OID1000001234 এ ধরণের একটি আইডি আছে যা Application Summery পেইজে পাওয়া যায়। তাছাড়া Application ID ব্যবহার করা যায়।
  • পাসপোর্ট এর আবেদন অনুযায়ী আপনার জন্ম তারিখ লিখে।
  • I am human লেখার বাম পাশে টিক চিহ্ন দিয়ে ক্যাপচা পূরণ করে।
  • সবশেষে, চেক বাটনে ক্লিক করলেই। আপনার পাসপোর্ট স্ট্যাটাস জানা যাবে।

আরও পড়ুন- রাউটার কি? রাউটারের প্রকারভেদ, ব্যবহারবিধি ও সুবিধা

পাসপোর্ট নম্বার দিয়ে চেক করার নিয়ম :

সাধারনত যেকোন পাসপোর্ট নম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেকিং করার সুযোগ নেই। তবে BMET রেজিস্ট্রেশন থাকলে পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে পাসপোর্ট চেক করা যায়।

ডেলিভারি স্লিপ দিয়ে পাসপোর্ট চেক :

আপনার হাতে থাকা পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ দিয়ে পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করার জন্য Delivery Slip এর উপরের ডান দিকের 13 ডিজিটের Application ID নম্বার পাবেন। সেটি www.epassport.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে Check Status মেন্যুতে Application ID নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে শেষের দিকের Captcha পূরণ করে Check বাটনে ক্লিক করলে পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করা যায়।

পাসপোর্ট রিনিউ করতে কি কি লাগে ?

ই পাসপোর্ট রিনিউ করতে নিম্মোক্ত কাগজপত্র প্রয়োজন, যেমন:

  1. জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি;
  2. জন্ম নিবন্ধনের কপি (বয়স অবশ্যই ১৯ বা তার কম হলে);
  3. আবেদনপত্রের সারাংশের প্রিন্ট কপি;
  4. আবেদনপত্র বা রেজিস্ট্রেশন ফরমের প্রিন্ট কপি;
  5. মানি অর্ডার/এ চালান/ ব্যাংক সার্টিফাইড চেক কপি
  6. ডাটা পেজের প্রিন্ট ও পূর্ববর্তী পাসপোর্ট কপি (যদি থাকে)
  7. সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য GO/NOC (যদি থাকে)
  8. তথ্য সংশোধনের প্রয়োজনীয় প্রমানাদী (প্রযোজ্য হলে)

পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম – Passport Renewal :

বর্তমানে বাংলাদেশের সব জেলা পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু করা হয়েছে, সেজন্য এমআরপি পাসপোর্ট নবায়ন করে ই-পাসপোর্ট গ্রহণ করতে হচ্ছে। ঘরে বসে আপনি নিজেই অনলাইনে বাংলাদেশি পাসপোর্ট রিনিউ ফরম পুরণ করতে পারবেন। তবে মনে রাখতে হবে, ই পাসপোর্টে রিনিউ করার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অনুসারেই পাসপোর্ট হবে। তাই পাসপোর্টের তথ্যের সাথে এনআইডির মিল থাকা আব্যশক। আর যদি পাসপোর্টের তথ্যের সাথে এনআইডির তথ্যে মিল না থাকে, সে ক্ষেত্রে আপনাকে পাসপোর্ট অথবা এনআইডি দু’টির মধ্যে যে কোন একটির ডকুমেন্ট সংশোধন করতেই হবে। এনআইডির সাথে মিল রেখেই পাসপোর্ট সংশোধন করা হবে।

আরও পড়ুন: ই নামজারি যাচাই বা খতিয়ান অনুসন্ধানের পদ্ধতি

পাসপোর্ট রিনিউ করার ফি ২০২৩

পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য ফি, নতুন পাসপোর্টের ফি’র মতই। ৫ বছর মেয়াদী ৪৮ পাতার পাসপোর্ট ফি হচ্ছে- ৪ হাজার ২৫ টাকা এবং ৬৪ পাতার পাসপোর্ট ফি ৬ হাজার ৩শত ২৫ টাকা । অন্যদিকে ১০ বছর মেয়াদী ৪৮ পাতার পাসপোর্ট ফি হচ্ছে- ৫ হাজার ৭শত ৫০ টাকা এবং ৬৪ পাতার পাসপোর্ট ফি ৮ হাজার ৫০ টাকা।

  • পাসপোর্ট রিনিউ ফরম জমা দেয়ার নিদের্শনা :
  • অনলাইনে পাসপোর্ট রিনিউ আবেদনের পর, সে কপি A4 সাইজে উভয় পৃষ্ঠায় প্রিন্ট করবেন।
  • পাসপোর্ট রিনিউ ফি পরিশোধ করবেন।
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সবগুলো ফটোকপি যুক্ত করবেন।
  • পাসপোর্ট রি-ইস্যুর জন্য মূল পাসপোর্ট দেখাতে।
  • পাসপোর্ট হারালে জিডির কপি দাখিল করতে হবে।
  • যদি পাসপোর্ট হারিয়ে যায় অথবা চুরি হয় তাহলে দ্রুত নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করুন। আর পুরাতন পাসপোর্টের ফটোকপি দিয়ে জিডিসহ আবেদন দাখিল করতে হবে।

বাংলাদেশি পাসপোর্ট রিনিউ করা যাবে কত দিন আগে ?

ই পাসপোর্টে রিনিউর জন্য এধরণের কোন সময়ের বিধি-নিষেধ নেই। এমআরপি পাসপোর্টের মেয়াদ থাকা অবস্থায় ই পাসপোর্টের জন্য রিনিউ আবেদন করা যাবে। যেহেতু পাসপোর্ট প্রিন্ট হতে সময় লাগবে, এবং বিদেশে অবস্থানরত অ্যাম্বাসীতে পৌঁছাতেও সময়ের ব্যাপার আছে। তাই ভিসা বাতিল হওয়ার মত সমস্যায় যেন পড়তে না হয়, তাই কমপক্ষে ৬ মাস পূর্বে পাসপোর্ট রিনিউ আবেদন করতে হয়।

পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলে করনীয় কি ?

পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলে পাসপোর্ট নবায়নের জন্য আবেদন করতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের সব জেলা ও প্রবাসে বিশেষ কিছু বাংলাদেশ মিশনে ই পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হয়েছে। সেজন্য আপনি অনলাইনে আবেদন করে বর্তমান এমআরপি পাসপোর্টটি হতে, ই পাসপোর্টে রিনিউয়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

Share This Post
Scroll to Top