পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক Visa check

বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ প্রতিদিন বিদেশে যাচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা ভুয়া ভিসা প্রদান করে তাদেরকে প্রতারিত করে। বৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার প্রথম শর্ত হচ্ছে পাসপোর্ট ও ভিসা হওয়া। পাসপোর্ট থাকলেই শুধু হবে না। যে দেশে যেতে চান সেই দেশের ভিসা আবশ্যক। তাই পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করা প্রায় সকলের প্রয়োজন হয়ে থাকে। শুধু যে চাকরির জন্য বাংলাদেশ থেকে মানুষ বিদেশ যায় তা কিন্তু নয়। অসংখ্য মানুষ ঘুরতেও যায়। উচ্চশিক্ষা লাভের জন্যও বাংলাদেশ থেকে প্রচুর ছাত্র ছাত্রী বিদেশে যায়।

তবে বর্তমান যুগে ভিসা নিয়ে প্রতারিত যেন কেউ না হয় সেটার ব্যবস্থা রয়েছে। কারণ অনলাইনেই আপনি আপনার ভিসার যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবেন। এর জন্য আপনাকে আর দালালের দারস্ত হতে হবে না। আপনি নিজেই নিজের ভিসা চেক করতে পারবেন। পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে যাতে করে আপনারা খুব সহজে পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে ভিসা চেক করতে পারেন।

ভিসা চেক করার প্রয়োজনীয়তা 

আমরা সকলেই জানি বিদেশ যেতে হলে ভিসার প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষ এখনো এই সকল বিষয়ে সচেতন নয় তাই দালাল ধরে ভিসা করে। ফলে অসংখ্য মানুষ প্রতি বছর প্রতারিত হয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। কারণ দালালেরা তাদেরকে ভুল ভিসা অথবা জাল ভিসা দিয়ে বিদেশ পাঠিয়ে দেয়। অতঃপর বিদেশে গিয়ে আসল উদ্দেশ্য হাসিল হয় না। 

জেনে নিন : পাসপোর্ট রিনিউ কিভাবে করতে হয়

কিন্তু দালালদের সেই একচ্ছত্র আধিপত্য এখন ইন্টারনেটের কল্যাণে বন্ধ হয়ে গেছে। এখন আপনি চাইলেই নিজের ভিসার যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবেন কয়েক মুহূর্ত। পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে ভিসা চেক আর্টিকেলটিতে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে কিভাবে পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে ভিসা চেক করবেন।

ভিসা আবেদন করার নিয়ম 

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক

ভিসা হচ্ছে একটি অনুমতি পত্রের মতো। আপনি যখন বিদেশে যাবেন তখন সেই দেশের সরকারের কাছে একটি আবেদন করতে হয়। সেই আবেদনের উল্লেখ্য করতে হয় আপনি কিসের জন্য ওই দেশে যেতে চান, কতদিন থাকবেন ইত্যাদি সব তথ্য। এরপর ওই দেশের কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদন যাচাই করে আপনাকে একটি মঞ্জুরী পত্র দেয়। সেই অনুমতি পত্রটাই হচ্ছে ভিসা।

পাসপোর্ট ছাড়া আপনি কোনো দেশে যেতে পারবেন না। কারণ পাসপোর্ট হচ্ছে আপনার ব্যক্তিগত পরিচয়পত্র। যেটাতে উল্লেখ্য থাকে আপনার সম্পর্কে সকল তথ্য যেমন আপনার ঠিকানা, আপনার দেশ, আপনার রক্তের গ্রুপ। এই পরিচয় পত্রটি হয়ে থাকে ইন্টারন্যাশনাল। এই আন্তর্জাতিক পরিচয় পত্রে ভিসা লাগানো হয়। এই ভিসা দিয়েই আপনি বিদেশে যেতে পারবেন। ভিসা না থাকলে আপনি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে ওই দেশের পুলিশ দ্বারা গ্রেফতার হতে পারে।

আপনি যদি বিদেশে যেতে চান এবং আপনার পাসপোর্ট থাকে তাহলে ভিসা চেক করার পূর্বে আপনাকে ভিসা আবেদন করতে হবে। ভিসা আবেদন করার নিয়ম এখানে ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ্য করা। 

ভিসা আবেদনের নিয়ম

দালাল ধরে অথবা দালাল ধরা ছাড়াও বর্তমানে পাসপোর্ট ভিসা করা যায়। তবে দালাল ধরে ভিসা করার পরেও আপনি প্রতারিত হতে পারেন। এজন্য উচিত নিজের ভিসা নিজে করা। বিশেষ করে যারা উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে চান অথবা ভ্রমণ করতে যেতে চান তাদের নিজের ভিসা নিজে করাটা অনেক সহজ। পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক আর্টিকেলে আপনাদেরকে আরো জানানো হবে কিভাবে ভিসা আবেদন করতে হয়।

এজন্য আমাদের জানতে হবে কত প্রকারের হয়ে থাকে। চাকরির ভিসা, ভ্রমণ ভিসা, ব্যবসা ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, গৃহকর্মী ভিসা, এক্সচেঞ্জ ভিজিট ভিসা, সাংবাদিক ভিসা, মেডিকেল ভিসা সাধারণত হয়ে থাকে। পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন। তাহলে জানতে পারবেন কিভাবে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করা যায়।

অনলাইনে ভিসা আবেদন ফরম

ভিসা তৈরি করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে অনলাইনে ভিসার আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। অনলাইনে ভিসা আবেদন করতে হলে আপনাকে বাংলাদেশের সরকারি ভিসা ওয়েবসাইট প্রবেশ করতে হবে। আপনি যদি ভিসা আবেদন করতে চান তাহলে ব্রাউজারে গিয়ে লিখতে হবে Bangladesh visa এবং সার্চ করুন। এরপর সেখানে গিয়ে আপনি আপনি যে দেশে যেতে চান সেই দেশ সিলেক্ট করুন।

আরও পড়ুন: পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেক

ভিসা আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

ভিসা আবেদন করতে হলে আপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজ প্রয়োজন। এগুলো ছাড়া আপনি ভিসা আবেদন করতে পারবেন না। কি কি কাগজপত্র করবেন তা নিচে উল্লেখ করা হলো—

  • পাসপোর্ট
  • ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • নির্ধারিত ফি
  • ইনভাইটেশন লেটার।
  • ব্যাংক সলভেন্সি ও ব্যাংক বিবরনী
  • সম্পদের বিবরনী (কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজন)
  • ব্যাবসায়ীক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
  • ভ্রমণের জন্য ভ্রমণ ইন্সুরেন্স 
  • চাকরি করতে গেলে রেফারেন্স লেটার

এগুলো ছাড়াও অন্যান্য কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে। যেটা ওয়েবসাইটে উল্লেখ্য করা থাকবে।

ভিসা বিভিন্ন মেয়াদের হয়ে থাকে। তবে পরবর্তী সময় ওই দেশে আরো বেশি দিন থাকার প্রয়োজন হলে ভিসার মেয়াদ বাড়ানো যায়। কিন্তু এর জন্য অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হয়।

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক আর্টিকেলে উদাহরণস্বরূপ মালয়েশিয়ার কাজের ভিসা পেতে কী কী লাগে তা উল্লেখ্য করা হচ্ছে—

  • আবেদনকারীর বয়সসীমা ২১-৪৫ বছর।
  • কমপক্ষে দুই বছরের মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্ট।
  • বিএমইটির ডাটাবেজে রেজিস্ট্রেশন।
  • জাতীয় পরিচয়পত্র
  • বিএমইটি কার্যালয়, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন।
  • সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
  • করোনা ভ্যাকসিনেশন কার্ড।
  • মালয়েশিয়া ভিজিট ভিসা পেতে
  • অনলাইন ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম।
  • জাতীয় পরিচয়পত্র।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
  • পূর্বে মালয়েশিয়া ভিজিটে গিয়ে থাকলে ভিসার কপি।
  • কারো আমন্ত্রণে মালয়েশিয়া গেলে রেফারেন্স লেটার।
  1. উপরোক্ত ডকুমেন্টস গুলো নিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করতে পারবেন। তবে চাকরির ভিসা গুলো সাধারণত এজেন্ট অথবা দালাল ধরেই নিতে হয়। কেননা বিদেশে কোনো কোম্পানি চাকরির সার্কুলার দিলে সেগুলো দালালেরাই বাংলাদেশের খবর নিয়ে আসে এবং সকল বন্দোবস্ত করে দেয়। আশা করি পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে আসতে পারে।

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করতে হলে প্রথমে যেকোনো ব্রাউজারে গুগল সার্চবারে গিয়ে, আপনি যেই দেশে যাওয়ার জন্য ভিসা করতে দিয়েছেন ওই দেশের নামসহ Visa Check লিখে সার্চ করুন। যেমন ধরুন “Qatar Visa Check”

সার্চ করার পর প্রথম যে ওয়েবসাইটটি আসবে, প্রবেশ করে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা যাচাই করতে পারবেন।

সকল দেশের ভিসা চেক করার পদ্ধতি প্রায় একই। ভিসা চেক করার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে Passport No Nationality সিলেক্ট করে যেকোনো দেশের ভিসা চেক করতে পারবেন।

উপসংহার 

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করার পদ্ধতি সম্পর্কে এতক্ষন আপনারা জানবেন। সেই সাথে এই আর্টিকেলে ভিসা আবেদন করার প্রসেসও উল্লেখ্য করা হয়েছে। আশা করি এখন থেকে আপনারা নিজেদের পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করতে পারবেন। এতে করে দালাল দ্বারা প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যাবে। 

এছাড়া আমাদের এই ওয়েবসাইটে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেক সম্পর্কিত একটি আর্টিকেল আছে। চাইলে সেটা আপনারা ভিজিট করে আসতে পারেন।

Scroll to Top